দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা: | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মেশিনে গম কাটা ও মড়াইয়ের ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারনে এক সময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল কৃষকরা। সরকারী প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে এ অঞ্চলে। এবছর জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। তারমধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। মেশিনে প্রতি বিঘা জমির গম কাটা মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ হচ্ছে মাত্র ১৮০০টাকা থেকে ২০০০টাকা। যা শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরীর অর্ধেকেরও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মন থেকে ২০ মন হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুনেরও বেশী। এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরদিয়াড় গ্রামের কৃষক জাকাত আলী জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৬ মন থেকে ১৮ মন হারে। কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এদিকে সরকারী প্রণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াই করছেন কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে। উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদানসহ সবধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছে এবং এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
Posted ৫:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
Desh24.news | Azad
.